৩১ মে, ২০১৬

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার স্বরুপ

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার সূত্র কি?

এক চিমটি আওয়ামী মৃদু সমালোচনা, একরাশ বিএনপির প্রতি অভিযোগ এবং অনেকগুলো চেতনার বড়ির ঘুটার মিলিত রূপই হলো নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা।
এই “নিরপেক্ষ”রা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করতে গিয়ে অতীতের আজিজ কমিশনের উদাহরণ টেনে আনে। এতেই থামেনা, আরেকটু এগিয়ে গিয়ে বলে বর্তমান কমিশনের নিরপেক্ষতা আজিজ কমিশনের মত প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতকিছুর পরও “মত” ও “যাচ্ছে” শব্দ দুটি ব্যবহার করে বর্তমান কমিশনের অবৈধ ও পক্ষপা্তমূলক কাজের পক্ষে পরোক্ষ ঢাল ধরছেন “নিরপেক্ষ” সাংবাদিকরা।
এই “নিরপেক্ষ” সাংবাদিকরা ২০০৬ এর নির্বাচনকালীন সময়ের কমিশনকে “আজীজ কমিশন” বলে সুনির্দিষ্ট একটি ব্যক্তিকে টার্গেট করে কথা বললেও বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে “রকিব কমিশন” বলে উল্লেখ করেন না।
এই নিরপেক্ষরা বিএনপির আমলের দূর্নীতির কথা বললেই শুরু ও শেষ করেন “হাওয়াভবন” ও “তারেক” (মধ্যবয়ষ্ক একজন যুবক একটি বড় দলের নেতার পুরো নামটুকুও অধিকাংশ সময় উল্লেখ করার ভদ্রতা দেখাননা) দিয়ে। পক্ষান্তরে বর্তমান সরকারের হাজার হাজার কোটিটাকার দূর্নীতির অভিযোগ থাকলেও নিরপেক্ষওয়ালাদের কলম ও জবান থেকে বর্তমান শাসকগোষ্টীর তিন প্রধান ক্ষমতার কেন্দ্রকে (হাসিনা-রেহানা-জয়) সযতনে এড়িয়ে যান। শেয়ার কেলেংকারীতে মিনমিনে সুরে দরবেশের সমালোচনা করলেও দরবশের সবসময়ের শেল্টার হাসিনা পরিবারের দিকে অঙ্গুলি তারা তুলেন না। ইউনিপেতে হানিফের মাধ্যমে জয় উপকৃত হলেও ইউনিপে নিয়ে তেনারা কথা বলেন, কিন্তু ইউনিপের মদদদাতা হানিফ ও হানিফের মাধ্যমে বেনেফিশিয়ারী জয়ের নাম আসেনা। জয়ের ৩০০ মিলিয়ন কেলেঙ্কারী নিয়েও “নিরপেক্ষরা” নীরব।
যমুনা সেতুতে শেখ হাসিনা গাড়ী থামিয়ে জনগনের টাকায় সেতুর টোল দেওয়ায় তারা আনন্দে বিগলিত হয়ে গেলেও দেশের জনগণের টাকা খরচ করে বিশাল বহর নিয়ে বোনের মেয়ের সন্তানকে দেখতে যাওয়ার বিষয়ে নীরব।
এই “নিরপেক্ষ”রা গনতন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে রচনা লিখতে কিংবা বলতে জিয়ার “পলিটিশিয়ানদের জন্য রাজনীতি কঠিন করার” সেই উক্তি টেনে আনেন। অথচ তারা সবাই জানেন জিয়ার সেই উক্তির আসল উদ্দেশ্য। জিয়া রাজনীতিবিদদের জন্য আসলেই রাজনীতি কঠিন করে তুলেছিলেন। রাজনীতি করতে হলে সততা দরকার, রাজনীতি করতে হলে শতশত মাইলে হেটে হেটে জনগণের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলা দরকার, জনগণের কথা শুনার দরকার। এগুলো নিজে করেছিলেন এবং করেছিলেন বলেই তিনি রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে এমন সাহসী কথা বলতে পেরেছিলেন। রাজনীতি মানে ঢাকায় পরিপাটি সাজে সেজে পার্টি করা নয়, জনগণের উন্নতিকল্পে পরিশ্রম করা। তাই তারপক্ষে এবং একমাত্র তারপক্ষেই এই বাক্যবলা সম্ভব। বস্থুত জিয়া রাজনীতিবিদদের জন্য একটি স্টান্ডার্ড (মান) তৈরি করেছিলেন নিজের কর্মকে সবার সামনে উদাহরণ দিয়ে।
অথচ নিরপেক্ষরা সেই পজেটিভ কথার মধ্যেও গনতন্ত্রের সংকট খুজে পান, কিন্তু আরেকটু অতীতে ফিরে “বাকশালে”র দেখা পান না। দেখা পাননা “লাল ঘোড়া দাবড়িয়ে দেওয়া”কে। দেখা পাননা চোরের খনির সর্দার ও তারপরিবারকে। দেখা পাননা “দূর্ভিক্ষের মধ্যেও রাজমুকুট পড়ীয়ে বিয়ে করিয়ে” জনগণের দুর্ভোগ-কষ্টের উপহাস করার সোকলড হাজার বছরের সেরা “বাঙ্গাল”কে।
“নিরপেক্ষ”দের এরকম হাজারো উদাহরণ দেওয়া যাবে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এইরকম নিরপেক্ষদের নিয়ে আমরা (জাতীয়তাবাদীরা) কি করিব?
কেন বেগম জিয়া, তারেক রহমান থেকে শুরু করে সকল সিনিয়র নেতারা আবুল মকসুদ, আনিসুজ্জামান, মতি আলু, নাইমুল, নইম নিজাম, সোবহান(মতি আলুর), মিলন, সারোয়ার, আমির খসরু সহ অন্যান্য “নিরপেক্ষ”দের মুখোশ উন্মোচন করেন না? তাদেরকে একটি বিশেষ দলের দোসর হিসেবে সবার কাছে পরিষ্কার করতে পারলে তারা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবেনা।
বিএনপির নেতারা এদেরকে নিরপেক্ষ হিসেবে মেনে নিয়ে তাদের কলম ও জবান কে শক্তিশালী করতেছেন। দলীয় ছাপ পড়া আগা চৌ, কে এম সোবহান, আরাফাত গং দের কথা সাধারণ বিশ্বাস না করলেও তথাকথিত “নিরপেক্ষ”দের কথায় অনেকে বিভ্রান্ত হয় ও বিশ্বাস করে। আগা চৌ গংরা কিংবা হাসিনারা যত ক্ষতি বিএনপি ও তারেক রহমানের করেছে, তারচেয়ে শতগুন বেশী ক্ষতি মতি আলু, মতি মিয়া,নইম নিজাম, আবুল মনসুর গংরা করেছে।
আগামীতে আওয়ামী প্রপাগান্ডা মোকাবেলার অনেককিছুই নির্ভর করবে এদেরকে “দলীয় ছাপ” মেরে এদের কলম ও জবানের ধার ভোতা করার মাধ্যমে।
অনেক কিছুতেই অদক্ষ বিএনপি এটা করতে পারবে, এই আশাও তেমন করিনা।
‪#‎ফাহিম‬ ‪#‎উদ্ভটভাবনা‬ ‪#‎ভিন্নমত‬

১৩ আগস্ট, ২০১৩

শেখ মুজীবের নায়ক থেকে খল নায়ক হওয়া,দায়ী তিনি নিজেই।

শেখ মুজীবের নায়ক থেকে খল নায়ক হওয়া,দায়ী তিনি নিজেই।
  #ফাহিম A.S.fahim

একটি দেশ বা সমাজ কিভাবে চলবে, উন্নতির গতি কেমন হবে, সেটা জনগণের কাম্য রাষ্ট্র হবে নাকি অন্য কিছু হবে তা সাধারনত একটি বিপ্লবের পরই ঠিক হয়ে যায়, সেটা হতে পারে সশস্ত্র বিপ্লব, সাংস্কৃতিক বিপ্লব বা ধর্মীইয় বিপ্লব এর মাধ্যমে । বিপ্লবের মাধ্যমে যোগ্য সৎ নেতা পেলে উন্নতির দিকে যায়, ব্যক্তিত্ব হীন নেতা পেলে দেশ ভঙ্গুর ভাবে চলে আর দূর্নীতিবাজ নেতা পেলে গোটা দেশ/সমাজ দূর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে।

বাংলাদেশের সৌভাগ্য ছিল এখানে সশস্ত্র বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। কাম্য রাষ্ট্র বা জনগণের কাংকিত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠার সুযোগ হয়েছিল। কারণ সমগ্র দেশের মানুষ এক হয়ে গেছিল সেই সশস্ত্র বিপ্লব বা যুদ্ধের মাধ্যমে। মানুষের মধ্যে জেগে উঠেছিল সুন্দর স্বাধীন সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র গঠনের আকাঙ্খা। বস্তুত এই আকাংখা ছিল বলেই মানুষ অস্ত্র হাতে প্রশিক্ষিত হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জীবনপণ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। মানুষের মধ্যে মুক্তির চেতনা গড়ে উঠেছিল, পাকিস্থানী শোষকদের হাত থেকে বাচার জন্য, নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, সমতা জন্য, ন্যয় বিচারের জন্য।
কিন্তু দুঃখের বিষয় আজীবন দলীয় সীমাবদ্ধ গন্ডীর মধ্যে রাজনীত করা তৎকালীন সময়ের সব চেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ শেখ মুজিব আমাদের  স্বাধীনতার  সেই বিপ্লবকে কাংখিত লক্ষে নিয়ে যাওয়ার পথের সূচনা করতে পারেন নি।
এজন্য আজকের রাষ্ট্রের সকল ব্যর্থতার মূল দায় তাকেই নিতে হবে। কারণ রাষ্ট্রের সকল অনাচারের(রাষ্ট্রীয়/সরকারের) শুরু তার আমল থেকেই শুরু। তিনি পারেননি সুশাসন দিতে, দূর্নীতি বন্ধ করতে, স্বজন প্রীতির উর্ধ্বে উঠতে, পারেননি এই ভুখন্ডকে পরিপূর্ণ রাস্ট্রের রুপ দিতে। আসলে রাষ্ট্রের সুচনার এই ব্যর্থতায়   তার রাষ্ট্রপরিচালনার যোগ্যতা  নিয়েই প্রশ্ন দেখা দেয়(উনি রাজনীতিবিদ হিসেবে যোগ্য ছিলেন, আজকের আলোচনা শাসক শেখ মুজিব নিয়ে)।
রাষ্ট পরিচালনা,বিরুধীদলে থাকাকালীন আন্দোলন চালানো ও গ্রাম্য বিচার-সালিশী সব কিছুকেই উনি গুলিয়ে ফেলেছিলেন। 

উনি চাটুকার দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকতেন ও তোষামোদকারিদের পছন্দ করতেন।
একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হতে গেলে এগুলো থেকে দূরে থাকতে হয়, কিন্তু তিনি এগুলোকে দূরে ঠেলে দেননি, বরং বুকেই রেখেছেন। তাই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শুভ সূচনার ব্যর্থতার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। রাস্ট্রের সূচনায় তিনি অনেক গুলো অনৈতিক কাজ করেন, যার কুফল আজও দেশকে বহন করে যাচ্ছে। নিচে পর্যাক্রমে তার কিছু আলোচনা করা হবে।

জাতীয় সরকার গঠন না করাঃ স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবীবের প্রথম ভুলটাই(অনৈতিকও বটে) ছিল  জাতীয় সরকার গঠন না করা। সাধারণত যুদ্ধোত্তর বা বিপ্লবের পর জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংবিধান সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কাঠামো গঠনের জন্য জাতীয় সরকার গঠন করা হয়। কিন্তু শেখ মুজীব সেই পথে পা মাড়াননি। ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে পাকিস্থানের জন্য নির্বাচিত সংসদ সদস্যেদের নিয়েই পথ চলা শুরু করেন। অথচ প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা কমিটী তখনও ছিল। সেই কমিটীর সাথেও আলোচনার প্রয়োজন মনে করেন নি। ঐক্যবদ্ধ জাতির অনৈক্যের বীজ সেখানেই প্রোথিত। এই দায়ের পুরোটাই বর্তায় সেই সময়ের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবের উপর। জাতীয় সরকারের মাধ্যমে দেশের শাসন ব্যবস্থা শুরু হলে দলীয় কর্মসূচী বাস্থবায়নে সমস্যা হত এটা বুঝেই হয়ত তিনি সেই পথে পা মাড়াননি। বস্তুত রাষ্ট্রকে দলীয়ভাবে ব্যবহারের শুরু শেখ মুজিব করেছেন এটার মাধ্যমে। আজ যারা বর্তমান শেখ হাসিনাকে দোষতেছেন দল আর রাষ্ট্রকে(শুধু সরকার নয়) এক করে ফেলছেন বলে তাদের বুঝতে হবে এটার শুরু করেছেন তারই পিতা শেখ মুজীব।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নগ্ন আঘাত!: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সর্বপ্রথম আঘাত করে আওয়ামীলিগ। আর এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শেখ মুজীব।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর ঘোষনায় কোথাও চারটী নীতি ছিলনা। মুজিব নগর ঘোষণায় যে তিনটী নীতির কথা আছে । সেগুলো হল- (১) সাম্য, (২) মানবিক মর্যাদা ও (৩) সামাজিক সুবিচার।
মুক্তিযোদ্ধের চেতনা বলতে হলে এগুলোকেই বলতে হবে। অথচ বাহাত্তরের সংবিধানে আমরা দেখলাম সেগুলোকে পাশ কাটীয়ে নতুন চারটী জিনিশ আমদানী করা হল! সেগুলো হল গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং জাতীয়তাবাদ। এগুলো কোথা থেকে উড়ে আসল? এগুলো আওয়ামীলীগের দলীয় চেতনা হতে পারে, কোনভাবেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নয়। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সর্বপ্রথম আঘাত করেছেন শেখ মুজীব।

তাছাড়া বাংলাদেশের মানুষ কি সমাজতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছিল? ধর্মনিরপেক্ষ রাস্ট্রের বিষয়ে ততকালীন পুর্ব পাকিস্তানের মানুষ সোচ্চার ছিল? এগুলো আমদানী করে বাংলাদেশের মুল ভিত্তিতেই আঘাত করেছিলেন শেখ মুজিব। ধর্ম নিরপেক্ষতা আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্যে বিস্থর ফারাক আছে। এই সাধারণ বাংলা শেখ মুজিব গং বুঝেনি এইটা আমরা বিশ্বাস করিনা। বরং প্রকৃত সত্য হল শেখ মুজিব, তাজ উদ্দীন, ড.কামালদের নীল নকশাতেই সূক্মভাবে ধর্মহীনতাকেই  চাপিয়ে দিয়েছেন জাতির ঘাড়ে।
 যাতে ধর্মীয় চেতনা মানুষের মন থেকে লোপ পায়। তারা হয়ত দেশকে কুখ্যাত নাস্থিক কামাল আতার্তুকের তুরুষ্ক করতে চেয়েছিল। আর ধর্মনিরপেক্ষতার কুফল তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। এখন হিজাব বা মাথায় কাপড় নিয়ে টানাটানি শুরু করেছে মিতা হকের মত সুশীল বেশ্যারা(সরি এর চেয়ে ভাল শব্দ খুঁজে পেলাম না)।
অথচ তখন ধর্মনিরপেক্ষতা না বলে ধর্মীয় সম্প্রীতির কথা বলা হলে আজ ধর্মবিদ্বেষী মিতা হক দের ধর্মবিরুধী আস্ফালন করার সাহস হত না বলেই মনে করি।
(মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে প্রফেসর এমাজউদ্দিন আহমদ এর একটি ভাল লিখা আছে, পড়তে পারেন,লিখার একেবারে শেষে  লিঙ্ক নং-১ )
(ফরহাদ মজহারের লিখাটিও পড়তে পারেন, নিচের লিংক নং-২)

কপি পেষ্ট সংবিধানঃ শেখ মুজীবের আরেকটী অনৈতিক কাজের সাক্ষী হল আমাদের সংবিধান। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে জাতীয় সরকার নয় দলীর সরকারের মাধ্যমে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছিল। মজার বিষয় হল সকল সদ্য স্বাধীন বা বিপ্লব পরবর্তী সংবিধান এর খসড়া তৈরী করে তাতে জনগণের সম্মতি নেওয়ার জন্য গণভোট করা হয়। কিন্তু শেখ মুজিব  জনগণের মতামতের তোয়াক্কা করেনি। তারা নিজেদের দলীয় আদর্শের ভিত্তিতে সংবিধান প্রণয়ন করে গণপরিষদে পাশ করিয়ে নেয়।  
উইকিপিডীয়াতেই আছে, দেখতে পারেন। (লিংক নং-৩)

সংবিধান প্রণয়ন করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মাওলানা ভাসানী।এখানে মাওলানা ভাসানীর মন্তব্য উল্লেখ করা প্রয়োজন বলে মনে করছি -মজলুম নেতা মাওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের সংবিধান গঠনের ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “বর্তমান সংসদ গঠিত হয়েছিল ১৯৭০ সালের LFO (Legal Frame Work)  এর অধিনে সংগঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে। জেনারেল ইয়াহিয়া খানের LFO মোতাবেক নির্বাচিত জাতীয় সংসদের দায়িত্ব ছিল পাকিস-ানের সংবিধান প্রণয়ন করা। আওয়ামী লীগ দল হিসাবে ছয় দফার ভিত্তিতে জনগণের কাছ থেকে ভোট গ্রহণ করেছিল। ছয় দফার দাবি ছিল পাকিস্তানের ভৌগলিক অখন্ডতা বজিয়ে রেখে প্রদেশ ভিত্তিক পূর্ণ স্বায়ত্ত্ব শাসন কায়েম করা। অতএব স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের কোন বৈধ অধিকার তাদের নেই। তিনি সর্বদলীয় জাতীয় কনভেনশন গঠন করে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের দাবি জানান। তিনি বলেন, জাতীয় কনভেনশনে শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিই থাকবে না তাতে বিভিন্ন সংগঠন যাদের সদস্যরা জাতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের প্রতিনিধিদেরও অর্ন্তভুক্ত করতে হবে। এ ধরণের জাতীয় কনভেনশনের দ্বারা প্রণীত সংবিধান পরে গণভোটের মাধ্যমে গৃহিত হবে।(কৃতজ্ঞতাঃhttp://www.majordalimbubangla.com/43.html)



এই বিষয়ে বিশিষ্ট সমাজচিন্তুক ফরহাদ মজহার বলেন ৭২ সালের কনস্টিটিউশন ছিলো দলীয় ড্রাফট। তারা তাদের দলীয় চিন্তা এবং একজন উকিলের মুসাবিদাকে বাংলাদেশের সংবিধানহিশাবে চাপিয়ে দেয়। এটা তো বলাই হয় যে বাংলাদেশের সংবিধান কামাল হোসেন লিখেছেন আর অনুবাদ করেছেন আনিসুজ্জামান। তো একজন ব্যাক্তির রচনা কি করে একটি দেশের রাষ্ট্র গঠনের দলিল হতে পারে? আর এখন দেখুন, পঞ্চদশ সংশোধনীর পর বাংলাদেশের সংবিধান তো আসলে একটি দলেরই দলিল হয়ে গিয়েছে। এটা কোন রাষ্ট্রের দলিল নয়।
 (আরও বিস্তারিত দেখতে এই লিঙ্কে যান http://www.chintaa.com/index.php/chinta/showAerticle/164/bangla)

যেখানে রাষ্ট্রের সংবিধানের সুচনা ঐক্যের মাধ্যমে হতে পারত, কিন্তু তা নাকরে শেখ মুজিব অনৈক্যের পথে হাটলেন, যার ফল আজও জাতিকে দিতে হচ্ছে। এর দায় শেখ মুজিবকেই নিতে হবে।
তাছাড়া বাংলাদেশের সংবিধান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের সাথে সামঞ্জস্য করে ব্যপক আলোচনার মাধ্যমে না করে কয়েকটী বিদেশী রাষ্ট্রের সংবিধান কপি করে ইন্ডীয়ান এক আইনজীবির সহায়তায় ড.কামাল তা জমা দেন। এতে বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্খার চিত্র ফুটে উঠেনি, সংবিধানও পুর্ণাঙ্গ সংবিধান হয়ে উঠেনি। যার ফল বারবার সংবিধান সংশোধনী করতে হচ্ছে। এখন তো জগা খিচুরী বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মূল দায় শেখ মুজিবকেই বহন করতে হবে।

৭৩ এর কলংক জনক নির্বাচনঃ আগেই উল্লেখ করা হয়েছে শেখ মুজিব ক্ষমতার লোভেই জাতীয় সরকার গঠন না করে পাকিস্তানের জন্য নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দ্বারাই সরকার গঠন করেছিলেন। তারপর ৭৩ সালে হঠাত করে বিরুধীদল গুলোকে অপ্রস্তুত অবস্থায় রেখেই তিনি নির্বাচন ঘোষণা করান। এতে তার কৌশল ছিল যাতে বিরুধীদলগুলো অপ্রস্তুত অবস্থা নির্বাচনে যায়। বাস্থবে হয়েছিলও তাই।
শুধু তাই নয়, তাদের বাধা দেওয়ার হেন কোন কূটকৌশল তিনি বাধ রাখেননি। নির্বাচনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় প্রার্থীদেরকে মনোনয়নপত্র দাখিলে বাঁধা, হাইজ্যাক করে আটকিয়ে রাখা, নির্বাচনী প্রচার কার্যে বাঁধা, নির্বাচনী জনসভাণ্ডলোতে সরকারের পেটুয়া বাহিনী দিয়ে নির্মম সন্ত্রাস চালানো তথা  প্রশাসনের মাধ্যমে নির্বাচনী ফলাফল পাল্টিয়ে ফেলাসহ এমন কোন জঘন্য কার্যকলাপ বাকী রাখা হয় নাই সেই নির্বাচনে। যার ফলে ৭৩ এর নির্বাচন একটা প্রহসনের নির্বাচন হিসেবেই ইতিহাসে আছে।

অপ্রস্থুত বিরুধীদল গুলোর জয়ের সম্ভাবনা খুবই কম ছিল। কিন্তু শেখ মুজিব বোধহয় তাতেও সন্তুষ্ট ছিলেন না। বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচন নিয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেন। নিরঙ্কুশ বিজয় পাবে জেনেও বিরুধী দল গুলোর ডাকসাইটে নেতাদের জয়ের সম্ভাবনায় এক অজানা আশঙ্কায় ভীত হয়ে পড়েন।
তৎকালীন বিরোধী দলের প্রার্থী মেজর (অবঃ) এস. এ.জলিল(বাকেরগঞ্জ), শাহাজাহান সিরাজ (টাঙ্গাইল),রসিদ ইঞ্জিনিয়ার(কুমিল্লা), মজম্মিল মাস্টার (সিলেট), মো: শাহজাহান (বণ্ডড়া), এবিএম শাহজাহান (যশোর), নুরুল হক মাস্টার (নোয়াখালী) রহমত আলী জিন্নাহ(চট্টগ্রাম),  মোসতাক চৌধুরী (চট্টগ্রাম), বাবু সুরঞ্জিত সেন ণ্ডপ্ত (সিলেট), ড: আলীম আল রাজী (টাঙ্গাইল,), রুহুল আমীন ভূইয়া (নোয়াখালী-ঢাকা), মোজাফ্ফর আহম্মদসহ অনেক নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে পরে দিন পরাজিত ঘোষণা করে সরকার দলীয় প্রার্থীদেরকে প্রশাসনের মাধ্যমে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিল।
সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করা একজন নেতা ক্ষমতার মোহে কতবড় স্বৈরশাসক হতে পারেন এটী তার একটী নমুনা মাত্র।  অথচ জাতির একক নেতা হিসেবে তিনি চাইলেই একটী গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে পারতেন।তা না করে জাতির নায়ক নন খলনায়কের ভুমিকায় নিজেকে প্রকাশ করেন।
(বিস্তারিত পাবেন এখান: http://www.eidesh.com/bangladesh/blogs/view/190)


অপশাসনঃ  বস্তুত উপরে বর্ণিত সকল কিছুই শেখ মুজীবের অপশাসনের কিছু নমুনা মাত্র। এইখানে আলোচনা হবে আইনের লঙ্ঘন, পেটুয়া বাহিনীর নির্যাতন সহ অন্যান্য অপশাসন নিয়ে।
আইনের শাসনের বিপরীত হল অপশাসন। অপশাসন চলছে মানেই  ধরে নিতে হবে দেশের আইনের শাসন নেই, লুটপাট চলবে অবাধে, বিচার বিভাগ অকার্যকর হবে, একটি নির্দিষ্টগোষ্টীর কিছু লোকের কাছেই সব কিছু জব্দ থাকবে। অন্যরা থাকবে বঞ্ছিত।
৭২-৭৫ এর মুজিবীয় শাসনামলে বাংলাদেশে তাই হয়েছিল। বস্তুত স্বাধীনতার পূর্বে আর আর স্বাধীনতার পরের শাসনামলের মধ্যে একটিই পার্থক্য ছিল, সেটি হল আগে সব কিছুর নিওন্ত্রণ করত মুসলিম লীগ আর স্বাধীনতার পর সব কিছু দখল করে আওয়ামীলীগ। সাধারণ মানুষের মৌলিক কোন উন্নয়ন হয়নি সেই সময়।
সেই সময়ের কুশাসনের হাজার হাজার ফিরিস্তি দেওয়া গেলেও  আলোচনা দীর্ঘায়িত করতে চাইনা বলে উল্লেখযোগ্য কিছু নমুনা পেশ করাটাই সমীচিন মনে করছি।
         স্বজন ও দল প্রীতিঃ আজীবন দলীয় রাজনীতি করা শেখ মুজিব প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও দলের স্বার্থের উর্ধ্বে উঠতে পারেননি। তাছাড়া তার স্বজনপ্রীতিও ছিল সীমানহীন। এক্ষেত্রে তিনি আইন-বিচারের তোয়াক্কা করতেন না।
         তার স্বজন প্রীতির অন্যতম উদারন হল তার পুত্র শেখ কামাল ব্যঙ্ক ডাকাতি করতে গিয়ে আহত হলেও তিনি তার ডাকাত পুত্রের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি। উলটো যারা গুলি করে তাদেরকে প্রশাসনিক শাস্থির আওতা আনেন।
         দলীয় এমপি  গাজী গোলাম মোস্তফা(কম্বলচোর গাজী বলে কুখ্যাত) তার স্বশস্ত্র ক্যাডার নাহিনী কর্তৃক মেজর ডালিম ও তার স্ত্রী অপহরণ হলেও (হত্যা করতে চেয়েছিল, কিন্তু পরিস্থিতি তখন অন্যদিকে মোড় নেওয়াতেই পারেনি) শেখ মুজিব তার বিচার করতে পারেননি। দল ও স্বজনপ্রীতির এক ন্যাক্কারজনক নজীর দেখান সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী। অথচ বিষয়টি আইনের হাতে ছেড়ে দেওয়াটাই ন্যায় ও যুক্তিসঙ্গত হত। http://www.majordalimbubangla.com এ এ ব্যাপারে আরও বিস্থারিত পাবেন।
         মনি, হাসনাত সহ তার আত্নীয় স্বজন আঙ্গুল ফুলে রাতারাতি বটগাছে পরিণত হয়েছিল।

         ১৯৭৩ সালে ভেঙ্গে পড়া আইন শৃংখলা পুরুদ্ধার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য জন্য শেখ মুজিব সেনাবাহিনীকে মাঠে নামান। বলাবাহুল্য সেই সময়ের অধিকাংশ অবৈধ অস্ত্র গুলো ছিল আওয়ামীলীগের ক্যাডারদের হাতে। আওয়ামীলীগের লোকজনই লএন্ড অর্ডার সিচুয়েশন এর অবনতি ঘটাচ্ছিল। তাই সেনাবাহিনী অপরাধী হিসেবে যাদেরকে ধরতেছিল তাদের অধিকাংশই ছিল আওয়ামীলীগের। এখানেও শেখ মুজিব দলপ্রীতির উর্ধ্বে উঠতে পারেননি। তিনি সরাসরি প্রভাব খাটিয়ে তার দলের অনেক সন্ত্রাসী নেতাকে ছাড়ান। রাষ্ট্রের(যদিও জাগজে কলমে তিনি সরকার প্রধান ছিলেন) প্রধান যখন সন্ত্রাসীদের প্রটেকশন দেন, তখন আইন শৃংখলার উন্নতি হবে কেমন করে!

        রক্ষীবাহিনীঃ শেখ মুজিবের শাসনামলের এক কালো অধ্যায়ের নাম হল রক্ষিবাহিনী। ভিন্নমত দমনের জন্যই  এই বাহিনী গঠন করা হয়। তারা সাফল্যের সাথে তা করেছিল। রক্ষিবাহিনী ও দলীয় পেটুয়া বাহিনীর হাতে প্রান হারিয়েছিল ৩০ হাজারের বেশী ভিন্ন মতাদর্শের রাজনৈতিক কর্মি। বলা বাহুল্য তার একটীরও বিচার হয়নি। বিচার হবে কিভাবে? শেখ মুজিব নিজেই ঘোষনা করেছিলেন নক্সালদের দেখা মাত্র গুলি করতে!
রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার ও হত্যার লাইসেন্স দেয়া প্রসঙ্গে ১৯৭২ সালের ২ এপ্রিল সাপ্তাহিক হলিডে পত্রিকার স্যাংশান টু দ্য কিল ডিসেন্টারশীর্ষক প্রবন্ধে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব যখন প্রকাশ্যে জনসভায় নির্দেশ দিলেন, “নক্সালদের দেখামাত্র গুলী করতখন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড চালানোর জন্য অন্য কোনো অনুমোদনের আর দরকার পড়ে না।তার এ বক্তব্যে আমরা জনতার নেতা নয় একজন হিটলারকেই দেখতে পাই। আইন বিচার বিষয় নিয় তার মুখের কথাই আইন! এইটা ফ্যাসিবাদ, তিনি বস্তুত একজন ফ্যাসিবাদি নেতা ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে মওদুদ আহমেদ এর লিখা শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকালবইয়ে উল্লেখ করা হয়-যখন রক্ষীবাহিনীর আচরণ এবং ভুমিকা নিয়ে জনগণের অসন্তোষ চরম পর্যায়ে উপনীত হয় এবং দেশের সংবাদপত্রগুলো তাদের ক্ষমতা,কর্তৃত্ব ও ভুমিকা নিয়ে অব্যাহতভাবে প্রশ্ন উত্থাপন করতে থাকে তখন ২০ মাস কার্যধারা পরিচালনায় ঢালাও লাইসেন্স দেয়ার পর সরকার রক্ষী বাহিনীর তৎপরতাকে আইনসিদ্ধ প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যেও একটি অধ্যাদেশ জারি করে।

রক্ষীবাহিনী কর্তৃক মানুষ হত্যা এতই স্বাভাবিক হয়ে গেছিল যে ঐ সময়ের দৈনিক বাংলার সহকারী সম্পাদল নির্মল সেন তার বিখ্যাত উপ সম্পাদকীয় আমি স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টী চাই

রক্ষিবাহিনীর নির্যাতনের শত শত প্রমান নিয়ে অনেক বই আছে, নেটে খোঁজ করলেও মিলবে। আমি সেগুলো দিয়ে লিখা লম্বা করতে চাইনা। । অনেক লিখার লিঙ্ক নিচে দিয়েছি সেগুলো পড়লেই আপনারা জানতে পারবেন।তবে এখানে  তৎকালিন সময়ে আত্নগোপনে থাকা কমুনিষ্ট নেতা শান্তিসেনের স্ত্রীর অরুণা সেনের একটী বিবৃতির লিঙ্ক দিচ্ছি-http://www.somewhereinblog.net/blog/kharejiblog/29635892  এইটা পড়লেই বুঝবেন কেমন ছিল শেখ মুজিবের আন্ডারে থাকা রক্ষীবাহিনীর নির্যাতন।
(রক্ষী হিনীর অত্যাচার নিয়ে আরও লিখা দেখতে পাবেন লিঙ্ক ৪-১৬ পর্যন্ত।)


          সিরাজ শিকদার হত্যাঃ বামপন্থী বিপ্লবী নেতা বিপ্লবী নেতা সিরাজ শিকদার হত্যা শেখ মুজিবের তত্ত্ববধানে আরেকটি বিচারবিহীন হত্যাকান্ড। এই হত্যা কান্ডে শেখ মুজিবের সরাসরি সম্মতি ছিল। তাইতো প্রকাশ্যে সংসদে বলেছিলেন শেখ মুজিব কোথায় আজ সিরাজ শিকদার?” সিরাজ শিকদার হত্যাকান্ডের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায় হত্যাকান্ডের ১৭ বছর পর দায়েরকৃত মামলার আর্জিতে, এবং এটাই সত্য বলে সবাই জানেন।
মামলার আর্জিতে ছিল- ১৯৭৫ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকা থেকে অন্য একজনসহ সিরাজ সিকদারকে গ্রেপ্তার করে ওই দিনই বিমানে করে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকার পুরনো বিমানবন্দরে নামিয়ে বিশেষ গাড়িতে করে বন্দিদের পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের মালিবাগস্থ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সিরাজ সিকদারকে আলাদা করে তাঁর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পুলিশ ও রক্ষীবাহিনীর বিশেষ স্কোয়াডের অনুগত সদস্যরা গণভবনে মরহুম শেখ মুজিবের কাছে সিরাজ সিকদারকে হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় নিয়ে যায়। সেখানে শেখ মুজিবের সঙ্গে তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম ক্যাপ্টেন (অব.) মনসুর আলীসহ আসামিরা, শেখ মুজিবের পুত্র মরহুম শেখ কামাল এবং ভাগ্নে মরহুম শেখ মনি উপস্থিত ছিলেন। আর্জিতে আরো বলা হয়, প্রথম দর্শনেই শেখ মুজিব সিরাজ সিকদারকে গালিগালাজ শুরু করেন। সিরাজ এর প্রতিবাদ করলে শেখ মুজিবসহ উপস্থিত সবাই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। সিরাজ সে অবস্থায়ও শেখ মুজিবের পুত্র কর্তৃক সাধিত ব্যাংক ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্ম, ভারতীয় সেবাদাসত্ব না করার, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শেখ মুজিবের কাছে দাবি জানালে শেখ মুজিব আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। সে সময় ১ নং আসামি মাহবুব উদ্দিন তাঁর রিভলবারের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সিরাজ সিকদার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শেখ কামাল রাগের মাথায় গুলি করলে সিরাজ সিকদারের হাতে লাগে। ওই সময় সব আসামি শেখ মুজিবের উপস্থিতিতেই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কিল, ঘুষি, লাথি মারতে মারতে তাঁকে অজ্ঞান করে ফেলেন। এর পর শেখ মুজিব, মনসুর আলী এবং ২ থেকে ৭ নং আসামি সিরাজ সিকদারকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন এবং ১ নং আসামিকে নির্দেশ দেন। ১ নং আসামি মাহবুব উদ্দিন আহমদ আসামিদের সঙ্গে বন্দি সিরাজ সিকদারকে শেরে বাংলানগর রক্ষীবাহিনীর সদর দপ্তরে নিয়ে যান। এর পর তাঁর ওপর আরো নির্যাতন চালানো হয়। অবশেষে ২ জানুয়ারি আসামিদের উপস্থিতিতে রাত ১১টার দিকে রক্ষীবাহিনীর সদর দপ্তরেই সিরাজ সিকদারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে ১ নং আসামির সঙ্গে বিশেষ স্কোয়াডের সদস্যরা পূর্বপরিকল্পনা মতো বন্দি অবস্থায় নিহত সিরাজ সিকদারের লাশ সাভারের তালবাগ এলাকা হয়ে সাভার থানায় নিয়ে যায় এবং সাভার থানা পুলিশ পরের দিন ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করে।
এখন বুঝেন রাষ্ট্রের প্রধানব্যক্তি যদি যদি সন্ত্রাসী আচরণ করেন তাইলে তার দলের নেতাকর্মিরা কেমন আচরণ করেছিল দেশের জনগনের মানুষের সাথে!
(আরও পড়তে পারবেন http://www.somewhereinblog.net/blog/sammobadiblog/29405366 লিঙ্কে)



                   রাজনৈতিক নির্যাতনঃ আজীবন গণতন্ত্রের বাদ্য বাজানো শেখ মুজিব প্রধানমন্ত্রী হয়েই শুরু করেন বিরুধী মত দমন। এক্ষেত্রে তার তুলনা করা যেতে পারে বিভিন্ন দেশের ফ্যাসিস্ট শাসকদের সাথে। শুধু জাসদেরই ২৬ হাজার নেতাকর্মিকে হত্যা করে তার দল ও সরকারের পেটুয়া রক্ষীবাহিনী।
১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চ তারা জাসদের নিরীহ মিছিলে গুলি চালিয়ে হত্যা করে ৫০ জনের বেশী নেতাকর্মিকে।এতে আহত হন জাসদ সাধারণ সম্পাদক আসম রব সহ আড়াইশ এর এশী নেতা কর্মি।
আবার সেদিন রাতেই আওয়ামী ক্যাডাররা জালিয়ে দেয় জাসদের মুখপাত্র দৈনিক গণকন্ঠের অফিসে হামলা চালায়। লুটপাঠ হয় অনেক, আবার শেষ রাতে পুলিশ গিয়ে জব্দ করে ছাপার জন্য তৈরী কপি ও সিলোফিন প্রভৃতি।১৮ মার্চ গ্রেফতার করা হয় সাংবাদিক কবি ও দৈনিক গণকন্ঠের সম্পাদক আলমাহমুদকে।
১৮ মার্চ তোফায়েল-রাজ্জাকদের মিছিলের একটী অংশ আগুন দেয় জাসদের অফিসে।
তখন জাসদ ছিল আওয়ামী বিরুধী প্রধান শক্তি। তাকে নির্মুল করতে অবৈধ সকল পন্থাই গ্রহণ করেন শেখ মুজিব।
           সাংবাদিক নির্যাতনঃ  ৭২ সাল থেকে সাংবাদিক থেকেই সাংবাদিকদের স্বাধীনতা খর্ব শুরু হয় এবং  ৭৩ থেকেই শুরু হয় সাংবাদিক নির্যাতন।কারনে অকারণে সাংবাদিক গ্রেফতার করা হতো। এ সময় সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা মূলক লিখার জন্য সাংবাদিক এনায়েত উল্লাহ খান, গণকন্ঠের সম্পাদক আল মাহমুদ, অভিমতের সাংবাদিক আলী আশরাফ সহ অনেক খ্যাতিমান সাংবাদিককেই জেলে যেতে হয়।পূর্ব দেশের দুজন সাংবাদিক মীর নূরুল ইসলাম ও হোসেন তৌফিককে সরকারের মনমতো রিপোর্ট না ছাপানোতে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাছাড়া সারা দেশেই চলে সাংবাদিক নির্যাতন।


 দূর্নীতি ও দুর্ভিক্ষঃ যে দেশে আইনের শাসন থাকেনা, বিচার বিভাগ অকার্যকর থাকে সেই দেশ দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবেই। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী সরকার ও দুর্নীতি পাশাপাশি হাত ধরে চলেছে।
এখানে উল্লেখ্য শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ বহু পুরনো।
১৯৫৬-৫৭ সালে শেখ মুজিব যখন শিল্পমন্ত্রী তখন তার বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায়। তিনি তার সরকারি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তার প্রিয়জন ও পার্টির লোকদের অনেক পারমিট, ব্যাংক লোন, ইনডেটিং লাইসেন্স, শিল্প কারখানা গড়ার পারমিশন প্রভৃতি করিয়ে দেন। 
পরবর্তীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান হয়েও তিনি তার স্বভাবসুলভ প্রথায় তার পার্টির লোকজনদের নানাভাবে খুশি রাখার চেষ্টা করেন। কাউকে দেয়া হয় টাকা, কাউকে চাকুরী, কাউকে অযৌক্তিক পদোন্নতি, কাউকে বানানো হয় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। এভাবেই দেশ স্বাধীন হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই অযোগ্য ও অসৎ পরিচালকগণ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের মেশিনপত্র, স্পেয়ার পার্টস, কাচাঁমাল ভারতে পাচাঁর করে রাতারাতি বড়লোক হয়ে উঠেন। সব রকম দেশী ও বিদেশী আমদানিকৃত পন্য সরবরাহ করা হত লাইসেন্স প্রাপ্ত ডিলারদের মাধ্যমে। তাদের সবাই ছিলেন আওয়ামী লীগের সুপাত্রগণ! তাদের কেউই পেশাগতভাবে ব্যবসায়ী ছিল না। তারা তাদের লাইসেন্স পারমিটগুলো মধ্যসত্ব ভোগী হিসাবে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিত। ফলে জিনিসপত্রের দাম অনেকগুন বেড়ে যেত। এছাড়া পাকিস্তানী নাগরিকদের পরিত্যাক্ত ৬০,০০০ বাড়ি আওয়ামী লীগ নেতা ও কর্মীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এভাবেই শুধু নয়, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের যোগ-সাজসে পাট, চাল, অন্যান্য কাচাঁমাল ও রিলিফের বিস্তর মালামাল ভারতে পাচাঁর করা হয়। এরই ফলে ব্যাঙের ছাতার মত দেশে একশ্রেণীর হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে ভূঁইফোড় বড়লোকের সৃষ্টি । (http://www.majordalimbubangla.com/50.html)
শেখ মুজিবের পরিবার ও আত্নীয় স্বজন চোরাচালান ও দূর্নীতিতে জড়ীয়ে পড়েছিলেন।শেখ মুজিবের ভাই শেখ নাসির খুলনার অবাঙ্গালিদের সম্পদ লুট সহ চোরাচালান তিনিই নিয়ন্ত্রন করতেন।শেখ কামালও দূর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিলেন। একবার তো ব্যাঙ্ক ডাকাতি করতে গিয়ে গুলি খেয়ে আহতও হল!
তাছাড়া তার ভাগ্নে মনি, হাসনাত ও শহিদুলরা দূর্নীতি করে টাকার পাহাড় বানিয়ে ফেলে, এইসব কিছুই শেখ মুজিবের অজানা ছিল না। তার আরেক ঘনিষ্ট গাজী গোলাম মোস্তফা তো দূর্নীতির জন্য বিখ্যাত। রিলিফের কম্বল সাবাড় করায় তার নাম হয়ে পরে কম্বলচোর গাজী
তাছাড়া গাজী বাহিনীর কাছে অবৈধ অস্ত্রের ভান্ডার ছিল। এবং এটা লুকোছাপা তারা করত না। প্রশাসনও ভয়ে কিছু বলত না।

সেই সময় আওয়ামীলীগের দূর্নীতি বর্তমান সরকারের মত বিশ্বখ্যাতি অর্জন করেছিল। তাইত বিখ্যাত সাংবাদিক লরেন্স লিফসুলজ  Far Eastern Economics এ ৩০ আগষ্ট ১৯৭৪ সঙ্খ্যায় লিখেন   “অসৎ কাজ ও অসাধু তৎপরতা কোন আমলেই নতুন কিছু নহে। কিন্তু ঢাকাবাসীদের অনেকেই মনে করেন যেভাবে মুজিব আমলে সরকারের ছত্রছায়ায় খোলাখুলিভাবে দুর্নীতি ও জাতীয় সম্পদের লুটপাট হয়েছে তার নজির ইতিহাসে বিরল।এ বিষয়ে আরও পাবেনhttp://www.majordalimbubangla.com/50.html)     (http://www.majordalimbubangla.com/67.html)

 দুর্ভিক্ষঃ মনুষ্যসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ কেমন ভয়াবহ হতে পারে তার প্রমাণ ৭৪ সালের দূর্ভিক্ষ। আওয়ামীলীগের খাই খাই ও শেখ মুজিবের ব্যররথতাই এই দূর্ভিক্ষের প্রধান কারণ।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রয়োজনীয় বিদেশী সাহায্য ঠিকি এসেছিল। তারপরও কেমনে দূর্ভিক্ষ হয়? না খেয়ে ১০ লক্ষ মানুষ নিহত হয়? কেন ক্ষুধার জালায় মানুষ আর রাস্তার কুকুর একি সাথে ডাস্টবিনের ময়লা খায়? কেন বাসন্তিরা জাল পরিধান করতে হয়? এৎ সাহায্য আসার পরও কেন মানুষোকে কচু লতা খেয়ে জীবন বাচানোর চেষতা করতে হয়? এর উত্তর একটাই শেখ মুজিবের ব্যর্থতা।
একদিকে দেশের মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছিল অন্যদিকে সোনার মুকুট পরিয়ে ছেলের বউ ঘরে এনেছিলেন। কি অদ্ভুত বৈপরিত্য!!! এইরকম শাসক দেশ চালালে দুর্ভিক্ষ হওয়াটাই তো স্বাভাবিক।

সোনার মুকুট পরিহিত ছেলের বউঃ


দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তি তিন বছরের মধ্যেই ৫ হাজার কোটী টাকার সম্পদ ইন্ডীয়াতে পাচার হয়েছে।তাছাড়া ভুল অর্থনৈতিক কৌশল, আওয়ামীলীগের লুটপাট, আওয়ামী মজুতদারদের মজুদদারী, আওয়ামীলীগের নেতাদের টাকা পাচার সহ অনেক কারণেই মানব সৃষ্ট এই দূর্ভিক্ষ সৃষ্টী হয়। তার দায় শেখ মুজীবের উপর বর্তাবেই (এই বিষয়ে বিস্তারিত পাবেন http://somewhereinblog.net/blog/zukrufa07blog/28895999)


শেখ মুজিব যে কত বড় মিথ্যাবাদী ছিলেন তারপ্রমান মিলে মেক্সিকোর এক্সেলসিয়র পত্রিকায় দেওয়া নিচের সাক্ষাতকারে-
শেখ মুজিবকে  প্রশ্ন করা হল, খাদ্যশস্যের অভাবের ফলে দেশে মৃত্যুর হার ভয়াবহ হতে পারে কিনা,শেখ মুজিব জবাব দিলেন,

এমন কোন আশংকা নেই।প্রশ্ন করা হল, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পার্লামেন্টে বিরোধীদল বলেন যে, ইতিমধ্যেই ১৫ হাজার মানুষ মারা গেছে।তিনি জবাব দিলেন, “তারা মিথ্যা বলেন।তাঁকে বলা হল,“ঢাকার বিদেশি মহল মৃত্যু সংখ্যা আরও বেশী বলে উল্লেখ করেন।শেখ মুজিব জবাব দিলেন, “তারা মিথ্যা বলেন।প্রশ্ন করা হল, দূর্নীতির কথা কি সত্য নয়? ভূখাদের জন্য প্রেরিত খাদ্য কি কালোবাজারে বিক্রী হয় না..? শেখ বললেন, “না। এর কোনটাই সত্য নয়।”(এন্টার প্রাইজ,রিভার সাইড,ক্যালিফোর্নিয়া, ২৯/০১/৭৫)

 বিদেশীদের চোখে কেমন ছিল  দেশের অবস্থা তার কয়েকটী দেওয়া হল নিচে-

                            ১৯৭৪ সালের ৩০ শে মার্চ গার্ডিয়ান পত্রিকা লিখেছিল, “আলীমুদ্দিন ক্ষুধার্ত। সে ছেঁড়া ছাতা মেরামত করে। বলল, যেদিন বেশী কাজ মেলে, সেদিন এক বেলা ভাত খাই। যেদিন তেমন কাজ পাই না সেদিন ভাতের বদলে চাপাতি খাই। আর এমন অনেক দিন যায় যেদিন কিছুই খেতে পাই না।তার দিকে এক নজর তাকালে বুঝা যায় সে সত্য কথাই বলছে। সবুজ লুঙ্গির নীচে তার পা দু'টিতে মাংস আছে বলে মনে হয় না। ঢাকার ৪০ মাইল উত্তরে মহকুমা শহর মানিকগঞ্জ। ১৫ হাজার লোকের বসতি। তাদের মধ্যে আলীমুদ্দিনের মত আরো অনেকে আছে। কোথাও একজন মোটা মানুষ চোখে পড়ে না। কালু বিশ্বাস বলল, “আমাদের মেয়েরা লজ্জায় বের হয় না-তারা নগ্ন।আলীমুদ্দিনের কাহিনী গোটা মানিকগঞ্জের কাহিনী। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের কাহিনী,শত শত শহর বন্দরের কাহিনী। এ পর্যন্ত বিদেশ থেকে ৫০ লাখ টনেরও বেশী খাদ্যশস্য বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু যাদের জন্য পাঠানো হয়েছে তারা পায়নি।
৯৭৪ সালে ২রা অক্টোবর,লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় জেকুইস লেসলী লিখেছিলেন,

একজন মা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে,আর অসহায় দুষ্টিতে তার মরণ-যন্ত্রণাকাতর চর্মসার শিশুটির দিকে তাকিয়ে আছে। বিশ্বাস হতে চায় না, তাই কথাটি বোঝাবার জন্য জোর দিয়ে মাথা নেড়ে একজন ইউরোপীয়ান বললেন, সকালে তিনি অফিসে যাচ্ছিলেন,এমন সময় এক ভিখারি এসে হাজির। কোলে তার মৃত শিশু। ..বহু বিদেশি পর্যবেক্ষক মনে করেন বর্তমান দুর্ভিক্ষের জন্য বর্তমান সরকারই দায়ী। দুর্ভিক্ষ বন্যার ফল ততটা নয়,যতটা মজুতদারী চোরাচালানের ফল”-বললেন স্থানীয় একজন অর্থনীতিবিদ।.. প্রতি বছর যে চাউল চোরাচালন হয়ে (ভারতে) যায় তার পরিমাণ ১০ লাখ টন।
(আরও বিস্তারিত পাবেন http://www.storyofbangladesh.com/ebooks/historyof71/83-section-24.html
http://bangladesh-web.com/new/readers-opinion/15925-2013-07-08-07-40-04 লিঙ্কে।)

(দুর্ভীক্ষ নিয়ে আমাদের প্রিয় ব্লগার নীল_সুপ্ত এর সুন্দর লিখা আছে, আপনারা পড়তে পারেন- http://www.somewhereinblog.net/blog/neel_supto/29862363)



বাকশালঃ পাকিস্থান আমলের ইতিহাস দেখলে আমরা দেখতে পাই শেখ মুজীব একজন গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনকারী নেতা । তার মুখে খই ফুটত গণতন্ত্রের জয়গান গেয়ে। তিনি কেমন গণতান্ত্রিক ছিলেন, কেমন নির্মোহ ছিলেন তার একটী প্রমাণ মিলে তাজউদ্দিন ও অলি আহাদের টেলি আলাপচারিতায়।অলি আহাদের জবানীতেই দেখুন-
১১ই জানুয়ারি (১৯৭২) টেলিফোন বাজিয়া উঠিল। রিসিভার তুলিয়া একটি পরিচিত কিন্তু অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত কন্ঠস্বর শুনিতে পাইলাম। কন্ঠস্বরটি গণপ্রজাতন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের। কলেজ জীবন হইতে বন্ধূ; ..টেলিফোনে তাজউদ্দিন কুশলাদি জিজ্ঞাসার পর আমাকে বলেন, “শেখ সাহেবকে প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন করিবার সিদ্ধান্ত লইয়াছি এবং প্রস্তাবও করিয়াছি। কারণ তিনি যে কোন পদেই বহাল থাকুন না কেন, তাঁহার ইচ্ছা-অনিচ্ছাতেই রাষ্ট্রীয় প্রশাসন পরিচালিত হইবে। শেখ শাহেবের মানসিক গড়ন তুমিও জান; আমিও জানি। তিনি সর্বাত্মক নিয়ন্ত্রণে অভ্যস্থ্। অতএব ক্ষণিকের ভূল সিদ্ধান্তের জন্য পার্লামেন্টারী কেবিনেট পদ্ধতির প্রশাসন প্রহসনে পরিণত হইবে। তিনি প্রেসিডেন্ট পদে আসীন থাকিলে নিয়মান্ত্রিক নাম-মাত্র দায়িত্ব পালন না করিয়া মনের অজান্তে কার্যতঃ ইহাকে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির প্রশাসনে পরিণত করিবেন। এই দিকে প্রেসিডেন্ট পদে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে নির্বাচনের কথা ভাবিতেছি। তোমার মত কি?” তদুত্তরে তাঁহাকে বলি, “তোমার সিদ্ধান্ত সঠিক। নামমাত্র প্রেসিডেন্টের ভূমিকা পালন শেখ সাহেবের শুধু চরিত্র বিরুদ্ধ হইবে না; বরং উহা হইবে অভিনয় বিশেষ। কেননা, ক্ষমতার লোভ তাঁহার সহজাত।তাজউদ্দিন টেলিফোনের অপর প্রান্তে সশব্দে হাসিয়া উঠিলেন। বলিলেন, “আমি জানিতাম, মৌলিক প্রশ্নে তোমার আমার মধ্যে মতভেদ হইবে না।” -(অলি আহাদ)।
শেখ মুজীব কেমন ক্ষমতা লোভী ছিলেন তার রাজনৈতিক ঘনিষ্ট তাজঊদ্দীন ও অলি আহাদের চেয়ে কে বেশী জানে? তাছাড়া দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই জাতীয় সরকার না করা, তড়িঘড়ী করে নির্বাচন করা, কখনও প্রধানমন্ত্রী হওয়া আবার কখনও প্রেসিডেন্ট হওয়ার মধ্যেই তার ক্ষমতার লিপ্সা প্রকাশ পায়।
তারই চূড়ান্ত ও আত্নবিধ্বংসী সর্বশেষরূপ দেখা যায় বাকশালের মাধ্যমে। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী মাত্র ১১ মিনিটে সংসদে চতুর্থ সংশোধনী পাশ করার মাধ্যমে বাকশালকে জাতির গাড়ে চাপিয়ে দেন শেখ মুজীব। ২৫শে জানুয়ারী দুপুর ১:১৫ মিনিটে এক সংক্ষিপ্ত অধিবেশনে জারিকৃত চতুর্থ সংশোধনীতে বলা হয়, “এই আইন প্রণয়নের পূর্বে যিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি রাষ্ট্রপতি পদে থাকবেন না এবং রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হবে। শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হবেন এবং রাষ্ট্রপতির কার্যভার গ্রহণ করবেন। এই আইন প্রবর্তনের ফলে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে বহাল থাকবেন এমনিভাবে যেন তিনি এই আইনের দ্বারা সংশোধিত সংবিধানের অধিনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে একজন রাষ্ট্রপতি ও একজন উপ-রাষ্ট্রপতি থাকবেন। রাষ্ট্রপতি প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। কার্যকালের মেয়াদ পাঁচ বছর। প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে থাকবে। তিনি প্রত্যক্ষভাবে অথবা তার অধিনস্থ কর্মচারীর মাধ্যমে যে ক্ষমতা নির্ধারণ করবেন উপ-রাষ্ট্রপতি শুধুমাত্র সেই ক্ষমতাই প্রয়োগ করতে পারবেন। রাষ্ট্রপতিকে তার দায়িত্ব পালনে সাহায্য ও পরামর্শ দানের জন্য একটি মন্ত্রী পরিষদ থাকবে। রাষ্ট্রপতি তার বিবেচনায় সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে কিংবা সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্য এরূপ ব্যক্তিদের মধ্য হতে একজন প্রধানমন্ত্রী ও আবশ্যক মনে করলে অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী নিয়োগ করতে পারবেন। প্রত্যেক মন্ত্রী সংসদে বক্তৃতা করতে এবং কার্যাবলীতে অংশ নিতে পারবেন তবে তিনি যদি সংসদ সদস্য না হন তাহলে ভোট দান করতে পারবেন না। রাষ্ট্রপতি মন্ত্রীপরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন অথবা তার নির্দেশে উপ-রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী ঐ সভায় সভাপতিত্ব করতে পারবেন। মন্ত্রীগণ রাষ্ট্রপতির ইচ্ছা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমা পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকবেন। সংশোধিত সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে দেশে শুধু একটি মাত্র রাজনৈতিক দল গঠন করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, যা জাতীয় দল নামে অভিহিত হবে। সংশোধনীতে কার্যভারকালে তার বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন ফৌজদারী কার্যধারা দায়ের করা বা চালু রাখা যাবে না এবং তার গ্রেফতার বা কারাবাসের জন্য কোন আদালত হতে পরোয়ানা জারি করা যাবে না।জাতীয় দলের ঘোষণায় বলা হয়, “কোন ব্যক্তি জাতীয় দল ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দল গঠন কিংবা ভিন্ন ধারার কোন রাজনৈতিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
 আসলে স্বাধীনতার চার বছরের মাথায় তিনি বাংলাদেশের একজন অজনপ্রিয় নেতা পরিণত হয়েছিলেন। তখন তিনি ইন্ডীয়া আর রক্ষীবাহিনী সহ তার অনুগত বাহিনীর মাধ্যমে ক্ষমতায় ঠিকে থাকতেই বাকশাল গঠন করেন। তারপ্রমান  ১৯৭৫ সালের ২৬ জানুয়ারি দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর প্রতি ইন্দিরা গান্ধীর অভিনন্দনশিরেনামের প্রতিবেদনটি  ছিল নিম্নরূপ : নয়াদিল্লী, ২৫ জানুয়ারী (বাসস)- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী তাঁহাকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করিয়াছেন। বঙ্গবন্ধুর নিকট আজ প্রেরিত এক বাণীতে মিসেস গান্ধী বঙ্গবন্ধুর স্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করিয়াছেন। এ থেকেই বুঝা যায় ইন্ডীয়ার সহায়তায় শেখ মুজিব বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন।
গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করা এই নেতা নিজ হাতেই গণতন্ত্রকে হত্যা করেন। সকল রাজনীতিক দল নিষিদ্ধ করা হয়। টুঁটি চেপে ধরেন জনগনের, মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়। নগ্ন হামলা হয় সংবাদ উপর। মতপ্রকাশের সকল পথ রুদ্ধ করা হয়। আবির্ভূত হন স্বীকৃত স্বৈরাচার  হিসেবে।তিনি আজীবন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জাতির উপর চেপে বসেন।

তার এই স্বৈরতান্ত্রিক ক্যুর সাথে তুলনা করার মত নজীর পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। সকল স্বৈরাচারের পরিণতি যেমন হয় তেমনি হয়েছিল শেখ মুজিবের পরিণতি। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি শেখ মুজিব কোন এক্সিট ডোর রেখে ক্ষমতা চালান নি।সকল স্বৈরাচারই তাই করে, ফলে তাদের পরিণতি নির্ধারিত হয় বুলেটের মাধ্যমে। শেখ মুজিবের পরিণতিও তাই হয়েছিল। এর জন্য তিনি নিজেই দায়ী।কারণ তার ক্ষমতা ও তাকে তিনি নিজেই বাকশালের মাধ্যমে বুলেটের মুখোমুখি দাড় করান, যার করুণ পরিণতি প্রায় পুরো পরিবার সহ নিহত হওয়া।

পরিশেষে বলা যায়, শেখ মুজিব যদি রাষ্ট্রের সূচনার শুরু থেকেই সততা ও নির্মোহ ভাবে স্বজনপ্রীতি, দলপ্রীতির উর্ধ্বে থেকে দেশ চালাতেন, তাইলে কোন রাষ্ট্রিয়/সরকারীয় অনাচারের উদ্ভব হতো না। জনগণের সেই স্বপ্নের বাংলাদেশের পথে এগিয়ে চলত। অন্যরাও রাষ্ট্রীয় আইনের,নীতির বাইরে যেতে পারত না। তাই দেশে হিসেবে আমাদের না পাওয়া, বঞ্ছিত হওয়ার মূল দায় নিতে হবে শেখ মুজীবকেইতার পর্বত প্রমাণ ব্যর্থতা ও রাষ্ট্রপরিচালনার অযোগ্যতা  তাকে খলনায়কে পরিণত করে।এর জন্য তিনি নিজেই দায়ী, ইতিহাস তাকে ক্ষমা করবে না।

কার্যকরী লিঙ্ক সমুহঃ
লিঙ্ক নং-১ (মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে প্রফেসর এমাজউদ্দিন আহমদ)
http://chhatrasangbadbd.com/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF/

লিঙ্ক নং-২ ফরহাদ মজহারের চিন্তা
http://www.chintaa.com/index.php/chinta/showAerticle/189/bangla

লিঙ্ক নং-৩ উইকিপিডীয়া
http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8



লিঙ্ক-৪
http://constructivebd24.blogspot.com/2013/07/blog-post_29.html

লিঙ্ক ৫
http://somewhereinblog.net/blog/orthohinrocks/29101584

লিঙ্ক-৬ ও ৭
রক্ষী বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনের লোমহর্ষক কাহিনী (১)
http://www.bdtoday.net/blog/blogdetail/detail/5392/ashrafrahman/11611

রক্ষী বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনের লোমহর্ষক কাহিনী (২)
http://www.bdtoday.net/blog/blogdetail/detail/5392/ashrafrahman/11638

লিঙ্ক-৮    
মুজিব বাহিনী থেকে রক্ষী বাহিনী ও একজন অরুনা সেনের জবানবন্দি।
https://www.facebook.com/notes/kana-রক্ষীbaba/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%93-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF/176004295907499

লিঙ্ক-৯
রক্ষিবাহিনীর কিছু স্মৃতিঃ কম্যুনিষ্ট নেতা শান্তি সেনের স্ত্রী শ্রীমতি অরুণা সেন
https://www.facebook.com/notes/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8/%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A7%81-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%83-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8/158622617663588

লিঙ্ক-১০,১১ ও ১২
রক্ষীবাহিনী নৃশংসতা ও আওয়ামী বর্বরতা-১
http://www.bishorgo.com/user/164/post/322
রক্ষীবাহিনী নৃশংসতা ও আওয়ামী বর্বরতা-২        
http://www.bishorgo.com/user/164/post/363
 রক্ষীবাহিনী নৃশংসতা ও আওয়ামী বর্বরতা-৩
http://www.bishorgo.com/user/164/post/386

লিঙ্ক-১৩
জাতীয় রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার সীমাহীন হয়ে পড়ে
http://www.majordalimbubangla.com/46.html

লিঙ্ক-১৪ ও ১৫
আওয়ামী লীগ ও রক্ষী বাহিনীর নির্যাতন : কেউ ভোলে কেউ ভোলে না (পর্ব-১ ও ২)
http://chairmanbd.blogspot.com/2013/05/blog-post_20.html
http://chairmanbd.blogspot.com/2013/05/blog-post_98.html               

লিঙ্ক-১৬
রক্ষিবাহিনীঃ সেই পৈশাচিক আতঙ্কের দিনগুলি
https://www.facebook.com/bnp.verifiedofficial/posts/505597152844264